অনলাইন ডেস্ক:
মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইবরাহিম (আ.) খোদাপ্রেমের নির্দশন ও পরীক্ষাস্বরূপ মিনার প্রান্তরে তাঁর কলিজার টুকরা সন্তান ইসমাঈল (আ.) এর গলায় ছুরি চালিয়ে ত্যাগ ও ভালোবাসার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। বিশ্বময় রচিত হলো কোরবানির নতুন ইতিহাস। এ ব্যাপারে দয়াময় আল্লাহ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে ইরশাদ করেন, অতঃপর সে যখন পিতার সঙ্গে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হলো, তখন পিতা ইবরাহিম (আ.) তাকে বললেন, হে আমার প্রিয় সন্তান! আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, তোমাকে জবেহ করছি; এ বিষয়ে তোমার অভিমত কী? ছেলে উত্তরে বলল, হে আমার পিতা! আপনাকে যা নির্দেশ করা হয়েছে আপনি তা বাস্তবায়ন করুন।
তথাকথিত এক শ্রেণিরবিত্তশালী রয়েছে, ঘুষ দুর্নীতি,প্রতারণা মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। কিন্তু সরকারিভাবে সম্পদ সঞ্চিত করার উপায় নেই বলে তারা বিভিন্ন পূজা-পার্বণে মুক্ত হস্তে অর্থ খরচ করেন। এই শ্রেণির লোকেরা ইতোমধ্যে নিজ নিজ এলকায় নিজেকে দানবীর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অনেক হয়েছেন সমাজ সেবক। কোরবানি আসলে অবৈধ টাকা দিয়ে পশু কিনতে এক ধরনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে পড়েন এক শ্রেনির সরকারি কর্মচারী। শিক্ষা অফিসের কেরানি, ভূমি অফিসের কানুনগো,সচিবালয়ের দফতরি, কাস্টমস অফিসের পিওন কিংবা পুলিশের কনস্টেবল থেকে শুরু করে অফিসের টপ বস বা কর্ণধার পর্যন্ত একাধিক পশু কোরবানির প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হন।
এই সব কর্মকর্তা কর্মচারিদের মধ্যে আবার কতিপয় সর্বভূক রয়েছেন, যারা নিজ অর্থে বা ঘুষের অর্থে নয়, বরং জলজ্যান্ত কোরবানির পশুটিই মক্কেলের কাছ থেকে সরাসরি ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেন। কোরবানির পশু ঘুষ হিসেবে পেয়ে তারা সেগুলো ঘটা করে কোরবানি দিয়ে নিজ এলাকার গরিব-মিসকিনদের খাওয়াইয়ে নিজেদের জন্য আখেরাতের পথ প্রসস্ত করেন। প্রজাতন্ত্রের সকল শ্রেণির সরকারি অফিসে এই শ্রেণির জীবগণ মহাদাপটে জনসেবা করেন। আমাদের এমন লোক দেখানো কোরবানি থেকে বের হয়ে আসা উচিত। কোরবানির ঈদকে ঘিরে অবৈধ অর্থে একাধিক পশু কোরবানির অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ হোক। কোরবানি হল প্রকৃত ত্যাগ। এই ত্যাগ হতে হবে বৈধ বস্তুর উপর নির্ভেজাল বৈধ দখলি সত্বের ত্যাগ।
Leave a Reply