অনলাইন ডেস্কঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মঙ্গলবার সকালে এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনায় নিহতদের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।দুর্ঘটনায় আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করে প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও যাত্রী মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২ টা ৪৮ মিনিটে উপজেলার মন্দবাগে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন দুটির মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি ট্রেনের একাধিক বগি আরেকটি ট্রেনের কয়েকটি বগির ওপর উঠে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা দুর্ঘটনার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের কাছে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প খোলা হয়েছে।
জানা গেছে, সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস লুপ লাইন দিয়ে মন্দবাগ স্টেশনে প্রবেশ করছিল রাত দুইটা ৪৩ মিনিটে। ওই সময় ঢাকাগামী চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা তুর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস মন্দবাগ স্টেশনের মূল লাইনে দাঁড়ানোর কথা।
তুর্ণা ট্রেনটি স্টেশনে না দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক গতিতে চলতে থাকে। উদয়ন এক্সপ্রেস লুপ লাইনে ঢোকার মুখে তুর্ণা এক্সপ্রেসে ধাক্কা দেয়। উদয়ন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের দিক থেকে ৭, ৮ ও ৯ নম্বর বগি তুর্ণা ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়। দুর্ঘটনার পর ভোর ছয়টার দিকে উদয়ন এক্সপ্রেস ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি কোচ ও এর পেছনের তিনটি কোচ রেখে দিয়ে ছয়টি কোচ নিয়ে সিলেটে রওনা দিয়েছে। তুর্না এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে।
![]()
সময় নিউজ২৪.কম/এমএম
Leave a Reply