সফিকুল ইসলাম, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
নিয়োগবিধি সংশোধন করে বেতনবৈষম্য নিরাসনসহ চার দফা দাবিতে পঞ্চম দিনেও কর্মবিরতি পালন করছে কুমিল্লার মুরাদনগরের স্বাস্থ্যকর্মীরা। ফলে উপজেলার মা ও শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম, বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা রোগী শনাক্ত করণসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা প্রতাশীরা। সোমবার সকাল ৮টা থেকে উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে সকল স্বাস্থ্য সহকর্মীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিয়োগবিধি সংশোধনসহ স্বাস্থ্য পরিদর্শদের বেতন ১১তম গ্রেডে, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের ১২তম গ্রেডে ও স্বাস্থ্য সহকারীদের ১৩তম গ্রেডে উন্নতি করতে হবে।
স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ বিনয় কুমার দেব জানায়, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেন কর্মচারীরা।
সেবা প্রত্যাশী মোসাঃ লাইলি আক্তার বলেন, ‘আমি তিন দিনের বাচ্চাকে নিয়ে টিকা দিতে এসে দেখি হাসপাতালে টিকা কার্যক্রম বন্ধ। বাহিরে প্রচন্ড শীত। এই পরিস্থিতির মধ্যে বাচ্চাকে নিয়ে বারবার বের হওয়া সম্ভব না।’ লাইলি আক্তারের মতো টিকা দিতে শিশু নিয়ে এসে আরও অনেকেই দুর্ভোগে পরেছেন।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন মুরাদনগর শাখার সভাপতি মনিরুজ্জামান বলেন, ‘টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্য সহকারীরা বর্তমানে ১০টি মারাত্মক সংক্রমিত রোগের টিকা দেয় কিন্তু আমাদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। আমরা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই কিছু যৌক্তিক দাবি আমরা সরকারের কাছে তুলে ধরেছিলাম। ১৯৯৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন আমাদের টেকনিক্যাল মর্যাদা দেওয়া হবে, তা ২২ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি।’
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন মুরাদনগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ আল বায়জিদসহ অনেকে।
সময়নিউজ২৪.কম/ বি এম এম
Leave a Reply