-
- কুমিল্লা বিভাগ, লিড নিউজ, সারাদেশ
- লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে কোটি টাকার সম্পদ ভাংচুর,৯৯৯ নম্বরে কল, আদালতে মামলা
- আপডেট টাইম : November, 30, 2022, 10:01 pm
- 37
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নির্মাণাধীন এক শিল্প প্রতিষ্ঠানে লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা না পেয়ে প্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি ক্যামেরা, মনিটর, সার্ভেয়ার মেশিন, জেনারেটর, বেকু মেশিন, একটি কক্ষসহ নানান আসবাব ভাংচুর করে। যাওয়ার সময় নির্মাণ শ্রমিকদের মোবাইল ফোন চিনতাই করে নিয়ে যায় সন্ত্রসীরা।এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় সাধারণ ডায়েরি ও আদালতে মামলা করা হয়েছে।
মামলার তথ্যমতে, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনাইচা পদুয়া সড়কের পাশে শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরি করছে এ প্লাস গ্রুপ। সাম্প্রতি যার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গত ২৮ নভেম্বর স্থানীয় আলকরা এলাকার একটি সন্ত্রাসী চক্র তিন লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে। একই দিন সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। জিডির কয়েক ঘণ্টা পর রাত ৯টায় সে চক্রের ১২-১৫ জন সদস্য নির্মাণাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর করে। তারা রামদা, চেনি, রডসহ দেশীয় অস্রসহ প্রবেশ করে। এ সময় সিসিটিভি ক্যামেরা, মনিটর, সার্ভেয়ার মেশিন, জেনারেটর, বেকু মেশিন, একটি কক্ষসহ নানান আসবাব ভাংচুর করে। যাওয়ার সময় প্রদান ফটকে সন্ত্রসীরা একটি নিজস্ব তালা লাগিয়ে যায়। যাওয়ার সময় শ্রমিকদের হত্যার হুমকি প্রদান করা হয়।
মামলার বাদী প্রতিষ্ঠানের সিকিউরটি ইনচার্জ আব্দুল জলিল জানান, সন্ত্রসীরা দীর্ঘদিন চাঁদা দাবি করছে। তারা চৌদ্দগ্রামের সংসদ সদস্য মহোদয়ের পরিচয় দেন। আমাদের বস পাঠাইছে। তিন লক্ষ টাকা দেন, নয়তো কাজ বন্ধ। গত সোমবার দুপুর ৩টার পর তারা প্রতিষ্ঠানে আসে, হুমকি প্রদান করে। সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম মডেল থানায় আমি সাধারণ ডায়েরি করি। রাত ৯টায় আবার তারা নির্মাণাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করে।এতে লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়। তখন আমরা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে, মহাসড়কের টহল পুলিশ এসে আমাদের রক্ষা করে।২৯ নভেম্বর কুমিল্লার আদালতে মামলা দাখিল করি।মামলায় মামুন, রাজু, টুটুল, নয়ন, কামাল, শুভসহ ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করি। আট জন স্বাক্ষী রয়েছে তারা সবাই বিষয়টি দেখেছেন। তাদের হত্যার ভয় দেখানো হয়েছে।
মামলার অভিযুক্ত স্থানীয় কামাল মেম্বার বলেন, প্রতিষ্ঠানটি এখানে হলে আমার এলাকার ১৫-২০ হাজার মানুষের কাজের ব্যবস্থা হবে।চাঁদাবাজি যেনো না হয়, আমি সহযোগীতা করবো ।নির্মাণাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রযেক্ট ইনচার্জ একরামুল হক বলেন,আমরা সরকারি সকল নীতিমালা অনুসরণ করে প্রতিষ্ঠান তৈরি করছি।এটি সরকারি রাজস্ব ও সাধারণ মানুষের সেবা-কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিবে।এ বিষয়ে প্রশাসন ও সন্মানিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নিকট সহযোগীতা চাই।
Like this:
Like Loading...
Related
Leave a Reply