জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হলেন তুষার মোহন সাধু খাঁ

Spread the love

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) প্রধান প্রকৌশলী হলেন তুষার মোহন সাধু খাঁ। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশল (পরিকল্পনা) তুষার মোহন সাধুকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব দেওয়া হলো। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ আগামী ৭ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

তুষার মোহন সাধু ১৯৮৯ সালের ২০ ডিসেম্বর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৮টি জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্পে যোগদান করেন। এরপর ১৯৯০ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত ঢাকার গবেষনা ও উন্নয়ন বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০২ পর্যন্ত প্রথমে ঢাকার গ্রাউন্ড ওয়াটার সার্কেল, পরে সাতক্ষীরা ও মাগুরায় ১৮টি জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্পের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০২ সালের ২১ মে মেহেরপুরে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পান। পরের বছর ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পর্যায়েক্রমে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ বিভাগ, ‘পানির গুনগতমান পরিবীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ সার্কেল’ এবং ঢাকার ‘গ্রাউন্ড ওয়াটার বিভাগের’ নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের ১৩ মে থেকে ২০১৯ সালের ৪ জুলাই পর্যন্ত পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

এছাড়া, ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ডিপিএইচই’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর (পরিকল্পনা) অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর একই বছরের ২০ মে তাকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর (পরিকল্পনা) চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ২৮ মে তাকে সমগ্রদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয় মন্ত্রণালয়।

চাকরি জীবনে সর্বক্ষেত্রে আলো ছড়ানো তুষার মোহন সাধু খাঁ ১৯৬৬ সালের ১০ জুন চুয়াডাঙ্গার দামড়ুহুদা উপজেলার দামুড়হুদা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর বাবার চাকরির সুবাদে খুলনায় বেড়ে ওঠেন তিনি। ১৯৮১ সালে খুলনা রোটারি স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে তিনি প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে খুলনার বিএল কলেজ থেকে ১ম বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৮৮ সালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) কুয়েট থেকে স্ট্রাকচার, আরসিসি, হাইড্রোলজি, হাইড্রোলিক্স, ফাউন্ডেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, পানি সরবরাহ এবং সিউয়ারেজ ইঞ্জিনিয়ারিং ও ট্রান্সপোটেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।

Leave a Reply